jugantor
শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান
কুষ্টিয়ায় আ’লীগের হামলা : মাধবপুরে ছাত্রলীগে সংঘর্ষ

  যুগান্তর ডেস্ক  

২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ০০:০০:০০  | 

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শুক্রবার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এতে অন্তত সাতজন আহত হন। হবিগঞ্জের মাধবপুরে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের দু’দফা সংঘর্ষে যুবলীগ সভাপতিসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া কুষ্টিয়ার কুমারখালী, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর ও গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শহীদ মিনার ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। যুগান্তরের ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কুষ্টিয়া : দৌলতপুরে মরিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মহান শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। বেলা ১১টার দিকে আলোচনা সভা চলাকালে বিদ্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাহাজুল মেম্বারের নেতৃত্বে ১০-১২ কর্মী এতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা লাঠিসোটা দিয়ে আয়োজকদের বেধড়ক পেটায়। এতে শিক্ষকসহ ৭ জন আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কুমারখালীর মহেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শহীদ মিনার ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। আচমকা বিদ্যালয়ে ঢুকে ভাংচুরের পর মুহূর্তের মধ্যেই পালিয়ে যায় তারা। মাত্র একদিনের ব্যবধানে এ উপজেলার দুটি শহীদ মিনার ভাংচুরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) : সকাল ৭টার দিকে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা মনির হোসেন শহীদ মিনারে ফুল দিতে এগিয়ে গেলে ওয়াসিম-শান্ত গ্র“পের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফারুক পাঠান, ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন, বাবু, উজ্জ্বলসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এ সময় শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ভয়ে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বসে আপসের সিদ্ধান্ত নেন। এর কিছুক্ষণ পরই আবারও দু’গ্র“প সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় মনির হোসেনের বাবা হাজী আকবর, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলু, শাহনেওয়াজ শানুসহ ৫ জন আহত হন। এবার পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) : বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হোগলাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।

এ নিয়ে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, হোসেনপুর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন, পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আকন্দ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : বেনুপুর বজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত শহীদ মিনার দুর্বৃত্তরা শুক্রবার সকালে ভেঙে ফেলেছে। প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ জানান, ফুল দেয়া শেষ হওয়ার পর কয়েকজন যুবক শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভ ভেঙে পালিয়ে যায়। এ সময় স্কুলের শিক্ষকসহ অন্যরা একুশের অন্য কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।



সাবমিট
শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান

কুষ্টিয়ায় আ’লীগের হামলা : মাধবপুরে ছাত্রলীগে সংঘর্ষ

 যুগান্তর ডেস্ক 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১২:০০ এএম  | 
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শুক্রবার মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এতে অন্তত সাতজন আহত হন। হবিগঞ্জের মাধবপুরে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের দু’দফা সংঘর্ষে যুবলীগ সভাপতিসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া কুষ্টিয়ার কুমারখালী, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর ও গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শহীদ মিনার ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। যুগান্তরের ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

কুষ্টিয়া : দৌলতপুরে মরিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মহান শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। বেলা ১১টার দিকে আলোচনা সভা চলাকালে বিদ্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাহাজুল মেম্বারের নেতৃত্বে ১০-১২ কর্মী এতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা লাঠিসোটা দিয়ে আয়োজকদের বেধড়ক পেটায়। এতে শিক্ষকসহ ৭ জন আহত হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কুমারখালীর মহেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শহীদ মিনার ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। আচমকা বিদ্যালয়ে ঢুকে ভাংচুরের পর মুহূর্তের মধ্যেই পালিয়ে যায় তারা। মাত্র একদিনের ব্যবধানে এ উপজেলার দুটি শহীদ মিনার ভাংচুরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) : সকাল ৭টার দিকে ছাত্রলীগের একাংশের নেতা মনির হোসেন শহীদ মিনারে ফুল দিতে এগিয়ে গেলে ওয়াসিম-শান্ত গ্র“পের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফারুক পাঠান, ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেন, বাবু, উজ্জ্বলসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এ সময় শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ভয়ে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বসে আপসের সিদ্ধান্ত নেন। এর কিছুক্ষণ পরই আবারও দু’গ্র“প সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় মনির হোসেনের বাবা হাজী আকবর, যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলু, শাহনেওয়াজ শানুসহ ৫ জন আহত হন। এবার পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) : বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হোগলাকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।

এ নিয়ে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, হোসেনপুর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন, পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আকন্দ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : বেনুপুর বজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত শহীদ মিনার দুর্বৃত্তরা শুক্রবার সকালে ভেঙে ফেলেছে। প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ জানান, ফুল দেয়া শেষ হওয়ার পর কয়েকজন যুবক শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভ ভেঙে পালিয়ে যায়। এ সময় স্কুলের শিক্ষকসহ অন্যরা একুশের অন্য কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র