jugantor
ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ গুলি
আহত ১০ গ্রেফতার ২০

  যুগান্তর রিপোর্ট  

০১ এপ্রিল ২০১৪, ০০:০০:০০  | 

ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের মধ্যে রোববার গভীর রাতে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ কলেজ হোস্টেলে তল্লাশি চালিয়ে ককটেল, ককটেল তৈরির সরঞ্জামসহ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে ২০ জনকে। গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীরা হলেন- জসিম (২৪), রনি (২০) ও জাহিদ (২০)। প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্ররা জানান, আসন্ন কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষে জড়িয়েছে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক নর্থ হলের রিংকু ও ইলিয়াস হলের সোহেল গ্র“প। রিংকু ও সোহেলের বিরুদ্ধে কলেজ ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, অস্ত্র-ইয়াবা ব্যবসাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। সংঘর্ষ শেষে রিংকু এবং সেক্রেটারি সুইমকে হল ছাড়া করে সোহেল। সোহেল ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক। রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উভয় গ্র“পের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে । এ সময় অন্তত ত্রিশ রাউন্ড গুলি এবং বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিউমার্কেট, শাহবাগ ও হাজারীবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়। রাত দেড়টার দিকে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ইলিয়াস হলের কয়েকজন ছাত্র জানান, উভয় গ্র“পের সংঘর্ষ চলাকালে সুইমের নিজস্ব নর্থ হলের ২১২ নম্বর রুম, ইলিয়াস হলের রিঙ্কুর ২০৪ ও ২০৫ নম্বর রুমে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। সুইমের রুমে টেলিভিশন, চেয়ার, টেবিল, ঘড়ি, আয়নাসহ আসবাবপত্র তছনছ করা হয়। এছাড়া আরও অন্তত ১০টি রুমে ভাংচুর চালানো হয়। অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুর করা হয়েছে তিনটি মোটরসাইকেলে। এ বিষয়ে সাকিব হাসান সুইম বলেন, অন্তত ৫০০ জন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। রাতে ইন্টারন্যাশনাল হলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রিয়াজুল হাকিম বলেন, ছাত্রদের দু’গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, রাত ২টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।



সাবমিট

ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ গুলি

আহত ১০ গ্রেফতার ২০
 যুগান্তর রিপোর্ট 
০১ এপ্রিল ২০১৪, ১২:০০ এএম  | 
ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দু’গ্র“পের মধ্যে রোববার গভীর রাতে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ কলেজ হোস্টেলে তল্লাশি চালিয়ে ককটেল, ককটেল তৈরির সরঞ্জামসহ দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে ২০ জনকে। গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীরা হলেন- জসিম (২৪), রনি (২০) ও জাহিদ (২০)। প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্ররা জানান, আসন্ন কমিটিতে পদ পাওয়ার জন্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষে জড়িয়েছে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক নর্থ হলের রিংকু ও ইলিয়াস হলের সোহেল গ্র“প। রিংকু ও সোহেলের বিরুদ্ধে কলেজ ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, অস্ত্র-ইয়াবা ব্যবসাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। সংঘর্ষ শেষে রিংকু এবং সেক্রেটারি সুইমকে হল ছাড়া করে সোহেল। সোহেল ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক। রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উভয় গ্র“পের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে । এ সময় অন্তত ত্রিশ রাউন্ড গুলি এবং বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিউমার্কেট, শাহবাগ ও হাজারীবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়। রাত দেড়টার দিকে পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ইলিয়াস হলের কয়েকজন ছাত্র জানান, উভয় গ্র“পের সংঘর্ষ চলাকালে সুইমের নিজস্ব নর্থ হলের ২১২ নম্বর রুম, ইলিয়াস হলের রিঙ্কুর ২০৪ ও ২০৫ নম্বর রুমে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। সুইমের রুমে টেলিভিশন, চেয়ার, টেবিল, ঘড়ি, আয়নাসহ আসবাবপত্র তছনছ করা হয়। এছাড়া আরও অন্তত ১০টি রুমে ভাংচুর চালানো হয়। অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুর করা হয়েছে তিনটি মোটরসাইকেলে। এ বিষয়ে সাকিব হাসান সুইম বলেন, অন্তত ৫০০ জন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। রাতে ইন্টারন্যাশনাল হলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রিয়াজুল হাকিম বলেন, ছাত্রদের দু’গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান, রাত ২টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র