jugantor
দলীয় কোটায় ভর্তির দাবি
রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের হামলা ভাংচুর : আহত ৫

  রাজশাহী ব্যুরো  

২৫ জুন ২০১৪, ০০:০০:০০  | 

রাজশাহী কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষে ভর্তিতে দলীয় কোটার দাবিতে কলেজ মিলনায়তন ভবনে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ভর্তি কার্যক্রমও বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় মেধা তালিকা অনুযায়ী রাজশাহী কলেজে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চলছিল। সকাল ৯টা থেকে রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়াম ভবনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর

সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম খান ববিন নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে যান। তারা দলীয় কোটায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ভর্তির দাবি জানান। এ সময় দায়িত্বরত শিক্ষকরা তাতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা চেয়ার, টেবিল, দরজা ও জানালার কাচ ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আতংকে পালাতে গিয়ে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে ঘটনার পর প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী এ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়; বরং আমরাই এই ভর্তি কার্যক্রমে নানাভাবে সহযোগিতা করছি। হামলা করেছে শিবিরের নেতাকর্মীরা। নিজামীর রায় ঘোষণার কথা শুনে তারা হামলা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

রাজশাহী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান বলেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেধা তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি চলছিল। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের সব আসন পূর্ণ হয়েছে। কিছু আসন খালি রয়েছে শুধু বিভিন্ন কোটার জন্য। এ ছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় আসন শূন্য থাকায় দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দ্বিতীয় মেধা তালিকার ভর্তি কার্যক্রম চলছিল। বেলা দেড়টার দিকে স্থানীয় কিছু উচ্ছৃংখল যুবক এসে ভর্তির দাবিতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় অল্প সময়ের জন্য ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সোবহান জানান, ভর্তি কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


 

সাবমিট
দলীয় কোটায় ভর্তির দাবি

রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের হামলা ভাংচুর : আহত ৫

 রাজশাহী ব্যুরো 
২৫ জুন ২০১৪, ১২:০০ এএম  | 

রাজশাহী কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষে ভর্তিতে দলীয় কোটার দাবিতে কলেজ মিলনায়তন ভবনে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ভর্তি কার্যক্রমও বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় মেধা তালিকা অনুযায়ী রাজশাহী কলেজে একাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চলছিল। সকাল ৯টা থেকে রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়াম ভবনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। দুপুর

সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম খান ববিন নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে যান। তারা দলীয় কোটায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ভর্তির দাবি জানান। এ সময় দায়িত্বরত শিক্ষকরা তাতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা চেয়ার, টেবিল, দরজা ও জানালার কাচ ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আতংকে পালাতে গিয়ে পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে ঘটনার পর প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী এ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়; বরং আমরাই এই ভর্তি কার্যক্রমে নানাভাবে সহযোগিতা করছি। হামলা করেছে শিবিরের নেতাকর্মীরা। নিজামীর রায় ঘোষণার কথা শুনে তারা হামলা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

রাজশাহী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান বলেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেধা তালিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি চলছিল। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের সব আসন পূর্ণ হয়েছে। কিছু আসন খালি রয়েছে শুধু বিভিন্ন কোটার জন্য। এ ছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় আসন শূন্য থাকায় দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত দ্বিতীয় মেধা তালিকার ভর্তি কার্যক্রম চলছিল। বেলা দেড়টার দিকে স্থানীয় কিছু উচ্ছৃংখল যুবক এসে ভর্তির দাবিতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় অল্প সময়ের জন্য ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সোবহান জানান, ভর্তি কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


 

 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র