এইচএসসি প্রথমবর্ষের ভর্তির দলীয় কোটা বরাদ্দ না পেয়ে এবার রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে হামলা চালিয়ে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় তারা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের বের করে দিয়ে ভাংচুর চালায়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। একই দাবিতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সরকারি কলেজের শ্রেণীকক্ষের জানালা-দরজা ও চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। উভয় স্থানেই পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
রাজশাহী : বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে রাজশাহী সিটি কলেজে একাদশ শ্রেণীর অপেক্ষমাণ দ্বিতীয় তালিকা থেকে ৭০০ থেকে ১৩০০ সিরিয়ালের ভর্তি কার্যক্রম চলছিল। ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন কর্মী দলীয় কোটা দাবি করে তালিকার বাইরের চার হাজার সিরিয়ালের কয়েক জন ছাত্রকে ভর্তির জন্য চাপ দেয়। এতে দায়িত্বরত শিক্ষকরা রাজি না হলে সেখানে তারা হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি ভাংচুর করতে থাকে ছাত্রলীগের কর্মীরা। তারা ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়ে মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিকাল ৪টার দিকে ফের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, কোনো দাবির সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত নয়।
রাজশাহী সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কবিরুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষমাণ দ্বিতীয় তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি চলছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় কিছু উচ্ছৃংখল যুবক এসে ভর্তির দাবিতে হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : সকাল ৯টা থেকে দর্শনা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে এইচএসসি প্রথমবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দলীয় কোটার দাবিতে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবদুস শহীদকে বলে। এতে অধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা রাজি না হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রেণীকক্ষের জানালা-দরজা, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর এবং শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এ সময় শিক্ষকরা ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে মিলনায়তনের ভেতর দিক থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মিলনায়তনের ভেতরে থাকা শিক্ষকদের উদ্ধার করে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবদুস শহীদ বলেন, ভর্তি কার্যক্রম চলবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুসারে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এক্ষেত্রে কারও কোনো দলীয় অন্যায় মেনে নেয়া হবে না।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ভর্তি কোটা দাবি
রাজশাহী ও দর্শনা কলেজে ছাত্রলীগের ভাংচুর
এইচএসসি প্রথমবর্ষের ভর্তির দলীয় কোটা বরাদ্দ না পেয়ে এবার রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে হামলা চালিয়ে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় তারা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের বের করে দিয়ে ভাংচুর চালায়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। একই দাবিতে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সরকারি কলেজের শ্রেণীকক্ষের জানালা-দরজা ও চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। উভয় স্থানেই পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। যুগান্তর ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
রাজশাহী : বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে রাজশাহী সিটি কলেজে একাদশ শ্রেণীর অপেক্ষমাণ দ্বিতীয় তালিকা থেকে ৭০০ থেকে ১৩০০ সিরিয়ালের ভর্তি কার্যক্রম চলছিল। ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিটি কলেজ ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন কর্মী দলীয় কোটা দাবি করে তালিকার বাইরের চার হাজার সিরিয়ালের কয়েক জন ছাত্রকে ভর্তির জন্য চাপ দেয়। এতে দায়িত্বরত শিক্ষকরা রাজি না হলে সেখানে তারা হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি ভাংচুর করতে থাকে ছাত্রলীগের কর্মীরা। তারা ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়ে মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিকাল ৪টার দিকে ফের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, কোনো দাবির সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত নয়।
রাজশাহী সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কবিরুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষমাণ দ্বিতীয় তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি চলছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় কিছু উচ্ছৃংখল যুবক এসে ভর্তির দাবিতে হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : সকাল ৯টা থেকে দর্শনা সরকারি কলেজ মিলনায়তনে এইচএসসি প্রথমবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী দলীয় কোটার দাবিতে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবদুস শহীদকে বলে। এতে অধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা রাজি না হওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রেণীকক্ষের জানালা-দরজা, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর এবং শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এ সময় শিক্ষকরা ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে মিলনায়তনের ভেতর দিক থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মিলনায়তনের ভেতরে থাকা শিক্ষকদের উদ্ধার করে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবদুস শহীদ বলেন, ভর্তি কার্যক্রম চলবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুসারে মেধাক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এক্ষেত্রে কারও কোনো দলীয় অন্যায় মেনে নেয়া হবে না।