jugantor
সিলেট-কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

  যুগান্তর ডেস্ক  

২২ অক্টোবর ২০১৩, ০০:০০:০০  | 

সিলেটের বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে যুবলীগের দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন সাত জন। যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

বিয়ানীবাজার (সিলেট) : সিলেটের বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের এএসআই ছাড়াও উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়ভাবে ‘প্রপার গ্রুপ’ বলে পরিচিত ছাত্রলীগের একাংশ বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিল নিয়ে তারা মুছা মার্কেটের সামনে এলে ছাত্রলীগের ‘মাথিউরা গ্র“পের’ কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় মাথিউরা গ্র“পের কর্মীরা সবুজ বাংলা রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে গ্রপার গ্র“পের কর্মীদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। প্রপার গ্র“পের কর্মীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে মাথিউরা গ্র“পের কর্মীদের ওপর। একপর্যায়ে তারা পরস্পরকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে প্রায় এক ঘণ্টা। এতে পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। বন্দুকযুদ্ধ শুরু হলে কলেজ রোড এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও বন্দুকযুদ্ধ চালিয়ে যায় শাসক দলের ক্যাডাররা। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় আহত হন পুলিশের এএসআই আবদুল ওয়াদুদ। আহতদের উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রুবেল, আল আমিন ও জাহিদের নাম জানা গেছে। বিকালে ওই এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ ব্যাপারে মাথিউরা গ্র“পের নেতা রেজাউল আলম অপুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ‘প্রপার গ্র“পের একাংশের নেতা কামরুল হাসান সুমন অভিযোগ করেন, বেলা ১১টার দিকে তাদের গ্র“পের কর্মী রুবেলকে কলেজ ক্যাম্পাসে একা পেয়ে মাথিউরা গ্র“পের কর্মীরা দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে তারা একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলা সদরের কলেজ রোডের মুছা মার্কেটের সামনে এলে মাথিউরা গ্র“পের কর্মীরা তাতে হামলা চালায়।

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : রৌমারীতে যুবলীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দু’গ্র“পে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ভাংচুর ও ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও বর্তমানে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রোববার রাতে উপজেলার গোয়ালগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রৌমারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কমিটি গঠনের জন্য একটি কাউন্সিল আহ্বান করা হয়। উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন সবুজের নেতৃত্বে কাউন্সিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর সাইফুল ও মোস্তাকের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি এবং পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। তাৎক্ষণিক দুটি গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইউপি ভবনসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ভাংচুর চালান তারা। রাস্তা ও ইউপি ভবনের সামনের শতাধিক চারা গাছ নিধন করেন। ফলে সভাটি পণ্ড হয়। এ সময় উভয়গ্র“পের তুহিন, আইয়ুব, মোস্তাক, সাইফুলসহ সাত ব্যক্তি আহত হন। তারা রৌমারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।


 

সাবমিট

সিলেট-কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

 যুগান্তর ডেস্ক 
২২ অক্টোবর ২০১৩, ১২:০০ এএম  | 

সিলেটের বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে যুবলীগের দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন সাত জন। যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

বিয়ানীবাজার (সিলেট) : সিলেটের বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের এএসআই ছাড়াও উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়ভাবে ‘প্রপার গ্রুপ’ বলে পরিচিত ছাত্রলীগের একাংশ বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিল নিয়ে তারা মুছা মার্কেটের সামনে এলে ছাত্রলীগের ‘মাথিউরা গ্র“পের’ কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় মাথিউরা গ্র“পের কর্মীরা সবুজ বাংলা রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে গ্রপার গ্র“পের কর্মীদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। প্রপার গ্র“পের কর্মীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে মাথিউরা গ্র“পের কর্মীদের ওপর। একপর্যায়ে তারা পরস্পরকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে প্রায় এক ঘণ্টা। এতে পুলিশসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। বন্দুকযুদ্ধ শুরু হলে কলেজ রোড এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও বন্দুকযুদ্ধ চালিয়ে যায় শাসক দলের ক্যাডাররা। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হামলায় আহত হন পুলিশের এএসআই আবদুল ওয়াদুদ। আহতদের উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রুবেল, আল আমিন ও জাহিদের নাম জানা গেছে। বিকালে ওই এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ ব্যাপারে মাথিউরা গ্র“পের নেতা রেজাউল আলম অপুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ‘প্রপার গ্র“পের একাংশের নেতা কামরুল হাসান সুমন অভিযোগ করেন, বেলা ১১টার দিকে তাদের গ্র“পের কর্মী রুবেলকে কলেজ ক্যাম্পাসে একা পেয়ে মাথিউরা গ্র“পের কর্মীরা দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে তারা একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলা সদরের কলেজ রোডের মুছা মার্কেটের সামনে এলে মাথিউরা গ্র“পের কর্মীরা তাতে হামলা চালায়।

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) : রৌমারীতে যুবলীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দু’গ্র“পে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ভাংচুর ও ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও বর্তমানে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রোববার রাতে উপজেলার গোয়ালগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রৌমারী উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কমিটি গঠনের জন্য একটি কাউন্সিল আহ্বান করা হয়। উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন সবুজের নেতৃত্বে কাউন্সিল শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর সাইফুল ও মোস্তাকের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতি এবং পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। তাৎক্ষণিক দুটি গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইউপি ভবনসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক ভাংচুর চালান তারা। রাস্তা ও ইউপি ভবনের সামনের শতাধিক চারা গাছ নিধন করেন। ফলে সভাটি পণ্ড হয়। এ সময় উভয়গ্র“পের তুহিন, আইয়ুব, মোস্তাক, সাইফুলসহ সাত ব্যক্তি আহত হন। তারা রৌমারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।


 

 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র