jugantor
পাবনায় ২ কোটি টাকার কাজ না পেয়ে ছাত্রলীগের ভাংচুর
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঠিকাদারদের ক্ষোভ

  পাবনা প্রতিনিধি  

১৩ মার্চ ২০১৪, ০০:০০:০০  | 

বুধবার দুপুরে পাবনা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের পৌনে ২ কোটি টাকার কাজ না পেয়ে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে তারা কয়েকটি দরপত্র ছিঁড়ে ফেলে এবং ভাংচুর চালায়। ঘটনার সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশের নীরব ভূমিকায় সাধারণ ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সূত্র জানায়, বুধবার বেলা ১১টায় প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ৩০টি গ্র“পের দরপত্রের লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারি কমিটির প্রধান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণপতি রায়ের নেতৃত্বে কার্যক্রম শুরু হলে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়ে কাজ ভাগবাটোয়ারার প্রস্তাব দেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের প্রস্তাব উপেক্ষা করে লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। কিন্তু ওই লটারিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মনোনীত ঠিকাদাররা কাজ না পাওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং একপর্যায়ে কয়েকটি দরপত্রের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন এবং অফিসে ভাংচুর চালান। এ সময় চরম উত্তেজনা ও আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

কয়েকজন সাধারণ ঠিকাদার জানান, জেলা ছাত্রলীগের একজন শীর্ষ নেতার নেতৃত্বে লটারি কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করে অফিসে ভাংচুর চালানো হয়। ঠিকাদাররা এ ঘটনার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার নিন্দা জানান। লটারি কমিটির প্রধান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণপতি রায় সাংবাদিকদের বলেন, লটারি কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। তবে কাজ না পাওয়া কিছু ঠিকাদারের লোকজন বিশৃংখলার চেষ্টা চালালে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার আহমেদ শরীফ ডাবলু সাংবাদিকদের জানান, কোনো টেন্ডারবাজির সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত নয়। তবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের দরপত্রের লটারিকে কেন্দ্র করে ঠিকাদারদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে শুনেছি।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী হানিফুল ইসলাম বলেন, কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলে লটারিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করে।



সাবমিট

পাবনায় ২ কোটি টাকার কাজ না পেয়ে ছাত্রলীগের ভাংচুর

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের ঠিকাদারদের ক্ষোভ
 পাবনা প্রতিনিধি 
১৩ মার্চ ২০১৪, ১২:০০ এএম  | 
বুধবার দুপুরে পাবনা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের পৌনে ২ কোটি টাকার কাজ না পেয়ে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে তারা কয়েকটি দরপত্র ছিঁড়ে ফেলে এবং ভাংচুর চালায়। ঘটনার সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশের নীরব ভূমিকায় সাধারণ ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সূত্র জানায়, বুধবার বেলা ১১টায় প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ৩০টি গ্র“পের দরপত্রের লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারি কমিটির প্রধান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণপতি রায়ের নেতৃত্বে কার্যক্রম শুরু হলে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়ে কাজ ভাগবাটোয়ারার প্রস্তাব দেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের প্রস্তাব উপেক্ষা করে লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। কিন্তু ওই লটারিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মনোনীত ঠিকাদাররা কাজ না পাওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং একপর্যায়ে কয়েকটি দরপত্রের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন এবং অফিসে ভাংচুর চালান। এ সময় চরম উত্তেজনা ও আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

কয়েকজন সাধারণ ঠিকাদার জানান, জেলা ছাত্রলীগের একজন শীর্ষ নেতার নেতৃত্বে লটারি কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করে অফিসে ভাংচুর চালানো হয়। ঠিকাদাররা এ ঘটনার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার নিন্দা জানান। লটারি কমিটির প্রধান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণপতি রায় সাংবাদিকদের বলেন, লটারি কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। তবে কাজ না পাওয়া কিছু ঠিকাদারের লোকজন বিশৃংখলার চেষ্টা চালালে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করে। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার আহমেদ শরীফ ডাবলু সাংবাদিকদের জানান, কোনো টেন্ডারবাজির সঙ্গে ছাত্রলীগ জড়িত নয়। তবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের দরপত্রের লটারিকে কেন্দ্র করে ঠিকাদারদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে বলে শুনেছি।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী হানিফুল ইসলাম বলেন, কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলে লটারিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করে।



 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র