কলাপাড়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষের কাণ্ড
বিনামূল্যের সরকারি বই কেজি দরে বিক্রি
বিনামূলের সরকারি বই ফেরিওয়ালাদের কাছে কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বইগুলো জব্দ করেন। বইগুলোর ওজন চার টন; যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ লাখ টাকা। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর সালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একেএম আবুবকর সিদ্দিক ও বাংলার প্রভাষক হাসান রোববার বিকালে গোপনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের সরকারি বিনামূল্যের বই কেজি দরে ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করেন। স্থানীয়রা ফেরিওয়ালাদের কাছে সরকারি বই দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জবাবে ফেরিওয়ালারা জানান, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে বইগুলো কিনেছেন তারা। ফেরিওয়ালা কাওছার শেখ জানান, বইগুলো মোয়াজ্জেমপুর ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে কিনেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তামিম নামের একজন বলেন, আমরা সন্ধ্যার পর মাদ্রাসার সামনে একটি ট্রাক এবং কয়েকজন লোক দেখতে পাই। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে আমরা স্থানীয় কয়েকজনকে খবর দিই। টের পেয়ে দ্রুত মাদ্রাসা মাঠ ত্যাগ করে তারা। পরে এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রাকসহ তাদের আটক করি।
মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা বনি আমিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এত সংকটের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিয়েছেন। অথচ অধ্যক্ষ চাহিদার অতিরিক্ত বই এনেছেন। অতিরিক্ত সেই বই তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। এই অসৎ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
সরকারি বই বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবুবকর বলেন, ‘রেজুলেশন করে বই বিক্রি করেছি।’ সরকারি বই বিক্রি করা বৈধ কি না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিক্রি করা বই আমরা জব্দ করেছি। অধ্যক্ষকে (আবুবকর সিদ্দিক) কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাঁচ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সহকারী কমিশনার ভূমি কৌশিক আহমেদ বলেন, ‘মহিপুর থেকে ট্রাকসহ বইগুলো জব্দ করে মহিপুর থানাকে হস্তান্তর করেছি। পাশাপাশি একাডেমি সুপারভাইজার মনিরুজ্জামানকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠিয়ে বইগুলো জব্দ করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিনামূল্যের সরকারি বই কেজি দরে বিক্রি
কলাপাড়ায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষের কাণ্ড
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
বিনামূলের সরকারি বই ফেরিওয়ালাদের কাছে কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বইগুলো জব্দ করেন। বইগুলোর ওজন চার টন; যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৫ লাখ টাকা। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর সালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একেএম আবুবকর সিদ্দিক ও বাংলার প্রভাষক হাসান রোববার বিকালে গোপনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের সরকারি বিনামূল্যের বই কেজি দরে ফেরিওয়ালার কাছে বিক্রি করেন। স্থানীয়রা ফেরিওয়ালাদের কাছে সরকারি বই দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জবাবে ফেরিওয়ালারা জানান, প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে বইগুলো কিনেছেন তারা। ফেরিওয়ালা কাওছার শেখ জানান, বইগুলো মোয়াজ্জেমপুর ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে কিনেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তামিম নামের একজন বলেন, আমরা সন্ধ্যার পর মাদ্রাসার সামনে একটি ট্রাক এবং কয়েকজন লোক দেখতে পাই। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে আমরা স্থানীয় কয়েকজনকে খবর দিই। টের পেয়ে দ্রুত মাদ্রাসা মাঠ ত্যাগ করে তারা। পরে এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রাকসহ তাদের আটক করি।
মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের বাসিন্দা বনি আমিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এত সংকটের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিয়েছেন। অথচ অধ্যক্ষ চাহিদার অতিরিক্ত বই এনেছেন। অতিরিক্ত সেই বই তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। এই অসৎ শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
সরকারি বই বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবুবকর বলেন, ‘রেজুলেশন করে বই বিক্রি করেছি।’ সরকারি বই বিক্রি করা বৈধ কি না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিক্রি করা বই আমরা জব্দ করেছি। অধ্যক্ষকে (আবুবকর সিদ্দিক) কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাঁচ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এরপর তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সহকারী কমিশনার ভূমি কৌশিক আহমেদ বলেন, ‘মহিপুর থেকে ট্রাকসহ বইগুলো জব্দ করে মহিপুর থানাকে হস্তান্তর করেছি। পাশাপাশি একাডেমি সুপারভাইজার মনিরুজ্জামানকে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দিয়েছি।’
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠিয়ে বইগুলো জব্দ করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2024