‘আমাকে ধর্ষণ করেছিলেন ট্রাম্প’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও এক নারী ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন।
অভিযোগকারী এলিজাবেথ জেন ক্যারল সাবেক মার্কিন সাংবাদিক ও কলাম লেখক। ৭৯ বছর বয়সি জেন ক্যারল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলাও করেছেন। প্রায় ৩০ বছর আগে তিনি ধর্ষিত হন বলে জানিয়েছেন।
তার এ অভিযোগকে প্রতারণা এবং মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেন জেন ক্যারল।
তখন তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছি। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাকে ধর্ষণ করেছিলেন। তারপর এ নিয়ে মিথ্যা কথা বলেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনা ঘটেনি।
জেন ক্যারল অভিযোগে বলেন, ১৯৯৬ সালে ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিংরুমে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেন। ক্যারল এ সময় তাকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। তার মধ্যে ভয় ছিল চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হতে পারে। এ ঘটনায় রিপোর্ট করলে তার ওপর প্রতিশোধ নিতে পারেন ট্রাম্প। ক্যারল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগও করেছেন। ট্রাম্পের কাছ থেকে অজ্ঞাত পরিমাণ ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন তিনি।
ক্যারল আরও বলেন, ট্রাম্প ওই ঘটনা দিনের পর দিন অস্বীকার করেছেন। আমি এখানে আমার জীবন ফিরে পেতে এসেছি। বছরের পর বছর ধরে আমি সেই চেষ্টাই করছি।
এখনো আমি এই আদালতে বসে সেই বেদনা অনুভব করি। এর ফলে সারা জীবন আমি কোনো রোমান্টিক সম্পর্ক গড়তে পারিনি। তবে প্রতিনিয়ত এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছেন ট্রাম্প। নিজের প্রচারণার জন্য এমন কল্পকাহিনি বলছেন বলে মত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
এদিকে ৭৬ বছর বয়সি ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই ট্রাম্পের একের পর এক নারী কেলেঙ্কারিতে জড়ানো বেশ গুরুত্ব পেয়েছে মার্কিন মহলে।
কারণ এ মাসেই প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হন ট্রাম্প। মার্কিন পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসেকে নিজের সঙ্গে গড়া যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ঘুস দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত হন ট্রাম্প।
‘আমাকে ধর্ষণ করেছিলেন ট্রাম্প’
যুগান্তর ডেস্ক
২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও এক নারী ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন।
অভিযোগকারী এলিজাবেথ জেন ক্যারল সাবেক মার্কিন সাংবাদিক ও কলাম লেখক। ৭৯ বছর বয়সি জেন ক্যারল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলাও করেছেন। প্রায় ৩০ বছর আগে তিনি ধর্ষিত হন বলে জানিয়েছেন।
তার এ অভিযোগকে প্রতারণা এবং মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সাক্ষ্য দেন জেন ক্যারল।
তখন তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছি। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাকে ধর্ষণ করেছিলেন। তারপর এ নিয়ে মিথ্যা কথা বলেন। তিনি বলেন, এমন ঘটনা ঘটেনি।
জেন ক্যারল অভিযোগে বলেন, ১৯৯৬ সালে ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিংরুমে ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেন। ক্যারল এ সময় তাকে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। তার মধ্যে ভয় ছিল চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হতে পারে। এ ঘটনায় রিপোর্ট করলে তার ওপর প্রতিশোধ নিতে পারেন ট্রাম্প। ক্যারল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগও করেছেন। ট্রাম্পের কাছ থেকে অজ্ঞাত পরিমাণ ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন তিনি।
ক্যারল আরও বলেন, ট্রাম্প ওই ঘটনা দিনের পর দিন অস্বীকার করেছেন। আমি এখানে আমার জীবন ফিরে পেতে এসেছি। বছরের পর বছর ধরে আমি সেই চেষ্টাই করছি।
এখনো আমি এই আদালতে বসে সেই বেদনা অনুভব করি। এর ফলে সারা জীবন আমি কোনো রোমান্টিক সম্পর্ক গড়তে পারিনি। তবে প্রতিনিয়ত এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছেন ট্রাম্প। নিজের প্রচারণার জন্য এমন কল্পকাহিনি বলছেন বলে মত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
এদিকে ৭৬ বছর বয়সি ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই ট্রাম্পের একের পর এক নারী কেলেঙ্কারিতে জড়ানো বেশ গুরুত্ব পেয়েছে মার্কিন মহলে।
কারণ এ মাসেই প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হন ট্রাম্প। মার্কিন পর্নো তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসেকে নিজের সঙ্গে গড়া যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ঘুস দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত হন ট্রাম্প।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2024