সাভারে গাংচিল বাহিনীর প্রধানসহ আটক ৩, অস্ত্র উদ্ধার

 সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি 
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৩৯ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
সাভার
রাজধানীর উপকন্ঠ সাভারে আমিনবাজার এলাকা থেকে দুর্ধষ গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ও তার দুই সহযোগীকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক করেছে র‌্যাব।

রাজধানীর উপকন্ঠ সাভারে আমিনবাজার এলাকা থেকে দুর্ধষ গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ও তার দুই সহযোগীকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক করেছে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, হিরোইন ও ইয়বা উদ্ধার  করা হয়। শুক্রবার রাতে আমিনবাজার সালেহপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।  দিন ভর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যা ব-৪।
র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সাল থেকে সাভার আমিন বাজার ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে উত্থান হয় গাংচিল বাহিনীর, যার প্রধান ছিল আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। বেশিরভাগ সময় পানিবেষ্টিত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করায় তারা ওই এলাকায় গাংচিল বাহিনী নামে পরিচিতি লাভ করে। এরপর ২০১৭ সালে আনার হোসেনের মৃত্যুও পর তার সহযোগী সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে আরো শক্তিশারী বাহিনী গড়ে তুলে।  
র‌্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম জানান, মূলত দুধর্ষ এই গাংচিল বাহিনী ২০০২ সালে  সাভার থানা পুলিশের এক এসআইকে হত্যা, ২০০৭ সালে দুই জন র্যা ব সদস্যকে হত্যা, দিয়বাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রলুট ও আমিন বাজার এলাকার নৌ-টহল দলের অস্ত্রলুট এর সাথে জড়িত ছিল। এ বাহিনী তুরাগ ও বুড়িগঙ্গা নদীতে চলাচলরত বালুভর্তি ট্রলার, ইটের কার্গোতে ডাকাতিসহ আমিন বাজার এলাকার শতাধিক  ইটভাটা থেকে নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করতো। এছাড়াও এলাকার প্রভাবশালীদের টার্গেট করে গাংচিল বাহিনীর সদস্যরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে ও চাঁদা না দিলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করাতো। মূলত চাঁদাবাজি, খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসিছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাভারের আমি বাজারের সালেহপুর এলাকায় র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করে গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ও তার দুই সহযোগীকে আটক করে। এসময়  তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল,  একটি ম্যাগাজিন, দুই রাউন্ড গুলি, মাদক ১৯০ গ্রাম হিরোইন ও ৫’শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র‌্যাব সদস্যরা।
তিনি আরো জানান, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারির একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আটক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জেলার খবর
অনুসন্ধান করুন