করোনার নতুন উপধরন: সব বন্দরে স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশ
বছরের শেষ সময়ে চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। ওমিক্রনের নতুন ধরন ‘বিএফ.৭’ থেকে এবার ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে। এটি ওমিক্রনের চেয়ে চারগুণ বেশি সংক্রামক। যা শনাক্ত করা কঠিন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ধরনটি কম সময়ের মধ্যে বেশি মানুষকে আক্রান্ত করে।
চীনে নতুন করে ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ভারতসহ বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংক্রমণের নতুন ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের কোভিড বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটি ৪ দফা সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরগুলোতে সন্দেহভাজন যাত্রীদের পরীক্ষা জোরদার করতে বলা হয়েছে।
ওমিক্রনের নতুন উপধরন ‘বিএফ.৭’ এর সংক্রমণ রোধে সীমান্তগুলোতে সতর্কতা জারির পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ভারতে ওমিক্রনের এই উপ-ধরন শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এটি ‘অত্যন্ত সংক্রামক।’ ফলে দেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সন্দেহজনক যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে।
রোববার অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, নৌ, স্থল ও বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র্র, ফ্রান্স, ব্রাজিল ও জার্মানিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সন্দেহজনক যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।
এদিকে রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, চীন-ভারতসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে আবারও সংক্রমণ বাড়ছে। এই অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে শনিবার জাতীয় কারিগরি কমিটির বৈঠক ছিল। কমিটি চারটি বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছে।
আহমেদুল কবির বলেন, করোনা সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্টে সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য এটির ঝুঁকি চারগুণ বেশি। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি ১৮ জনকে সংক্রামিত করতে পারে। তাই যারা টিকা নেননি তাদের দ্রুত নেওয়ার জন্য কারিগরি কমিটি সুপারিশ করেছে। এছাড়া সেকেন্ড বুস্টার ডোজের (চতুর্থ ডোজ) প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধির বিষয়েও বলেছে। যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, গর্ভবতী নারী ও ষাটোর্ধ আছেন, তাদের দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দ্রুত নিতে বলা হয়েছে। ‘দ্বিতীয় সুপারিশ-যারা কোমরবিড তথা দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্ত, তাদের অবশ্যই প্রটেকটিভ কেয়ার নিতে হবে। যেমন- মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান এসব মানতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, কারিগরি কমিটির সভায় তৃতীয়ত যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা হলো বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ সব পোর্টে পরীক্ষা জোরদার করা। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পোর্টে চিঠি দিয়েছেন, বিমানবন্দর, স্থলবন্দর থেকে শুরু করে সব জায়গায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে তাদের আইসোলেট (সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে) করা বা তাদের নির্দেশনা দেওয়া। এছাড়াও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে এমন দেশ থেকে যারা আসবেন তাদের মধ্যে কারও উপসর্গ থাকলে তাকে দ্রুত পরীক্ষার আওতায় এনে আলাদা করতে হবে।
আহমেদুল কবির আরও বলেন, কারিগরি কমিটির সভায় বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বুস্টার ডোজে ফাইজারের যে টিকা দেওয়া হচ্ছে, সেটির মেয়াদ ফাইজার কোম্পানিই এক্সটেনশন মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন দিয়েছে। কারিগরি কমিটিও বলেছে সেই টিকাটি দ্রুত দেওয়ার জন্য। একইসঙ্গে এটি নিয়ে যেন কোনো কনফিউশন (সংশয়) তৈরি না হয়, সে বিষয়েও কারিগরি কমিটি নির্দেশনা দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, করোনা সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। মানুষের মধ্যে সতর্কতা নেই বললে চলে।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, টিকার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। টিকা নিয়ে সংশয়ের কারণ নেই। টিকা উৎপাদন কমিটি টিকা নিয়ে কাজ করে। তাদের সঙ্গে কথা বলেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এটা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
সংক্রমণ বাড়লে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্ক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মহাখালী ডিএনসিসিসহ কোভিড হাসপাতাল যেগুলো রয়েছে, তাদের সঙ্গে সভা করছি। প্রস্তুত থাকতে বলেছি। আইসোলেশন ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। অধিদপ্তর বিষয়গুলো নিয়ে সতর্ক এবং প্রস্তুত আছে।
করোনার নতুন উপধরন: সব বন্দরে স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:৫৮:২৫ | অনলাইন সংস্করণ
বছরের শেষ সময়ে চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। ওমিক্রনের নতুন ধরন ‘বিএফ.৭’ থেকে এবার ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে। এটি ওমিক্রনের চেয়ে চারগুণ বেশি সংক্রামক। যা শনাক্ত করা কঠিন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ধরনটি কম সময়ের মধ্যে বেশি মানুষকে আক্রান্ত করে।
চীনে নতুন করে ২৫ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ভারতসহ বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সংক্রমণের নতুন ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের কোভিড বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটি ৪ দফা সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরগুলোতে সন্দেহভাজন যাত্রীদের পরীক্ষা জোরদার করতে বলা হয়েছে।
ওমিক্রনের নতুন উপধরন ‘বিএফ.৭’ এর সংক্রমণ রোধে সীমান্তগুলোতে সতর্কতা জারির পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ভারতে ওমিক্রনের এই উপ-ধরন শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এটি ‘অত্যন্ত সংক্রামক।’ ফলে দেশের স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে সন্দেহজনক যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছে।
রোববার অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, নৌ, স্থল ও বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এই ভাইরাস যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র্র, ফ্রান্স, ব্রাজিল ও জার্মানিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সন্দেহজনক যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।
এদিকে রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, চীন-ভারতসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে আবারও সংক্রমণ বাড়ছে। এই অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে শনিবার জাতীয় কারিগরি কমিটির বৈঠক ছিল। কমিটি চারটি বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছে।
আহমেদুল কবির বলেন, করোনা সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্টে সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হলো টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য এটির ঝুঁকি চারগুণ বেশি। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি ১৮ জনকে সংক্রামিত করতে পারে। তাই যারা টিকা নেননি তাদের দ্রুত নেওয়ার জন্য কারিগরি কমিটি সুপারিশ করেছে। এছাড়া সেকেন্ড বুস্টার ডোজের (চতুর্থ ডোজ) প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধির বিষয়েও বলেছে। যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, গর্ভবতী নারী ও ষাটোর্ধ আছেন, তাদের দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ দ্রুত নিতে বলা হয়েছে। ‘দ্বিতীয় সুপারিশ-যারা কোমরবিড তথা দীর্ঘ মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্ত, তাদের অবশ্যই প্রটেকটিভ কেয়ার নিতে হবে। যেমন- মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান এসব মানতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, কারিগরি কমিটির সভায় তৃতীয়ত যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা হলো বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ সব পোর্টে পরীক্ষা জোরদার করা। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পোর্টে চিঠি দিয়েছেন, বিমানবন্দর, স্থলবন্দর থেকে শুরু করে সব জায়গায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে তাদের আইসোলেট (সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে) করা বা তাদের নির্দেশনা দেওয়া। এছাড়াও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে এমন দেশ থেকে যারা আসবেন তাদের মধ্যে কারও উপসর্গ থাকলে তাকে দ্রুত পরীক্ষার আওতায় এনে আলাদা করতে হবে।
আহমেদুল কবির আরও বলেন, কারিগরি কমিটির সভায় বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বুস্টার ডোজে ফাইজারের যে টিকা দেওয়া হচ্ছে, সেটির মেয়াদ ফাইজার কোম্পানিই এক্সটেনশন মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে। এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন দিয়েছে। কারিগরি কমিটিও বলেছে সেই টিকাটি দ্রুত দেওয়ার জন্য। একইসঙ্গে এটি নিয়ে যেন কোনো কনফিউশন (সংশয়) তৈরি না হয়, সে বিষয়েও কারিগরি কমিটি নির্দেশনা দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, করোনা সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। মানুষের মধ্যে সতর্কতা নেই বললে চলে।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, টিকার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। টিকা নিয়ে সংশয়ের কারণ নেই। টিকা উৎপাদন কমিটি টিকা নিয়ে কাজ করে। তাদের সঙ্গে কথা বলেই মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এটা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
সংক্রমণ বাড়লে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সতর্ক রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মহাখালী ডিএনসিসিসহ কোভিড হাসপাতাল যেগুলো রয়েছে, তাদের সঙ্গে সভা করছি। প্রস্তুত থাকতে বলেছি। আইসোলেশন ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। অধিদপ্তর বিষয়গুলো নিয়ে সতর্ক এবং প্রস্তুত আছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2024