আল্লামা আহমদ শফী হত্যা মামলার ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগ

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:২০ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
হেফাজতের প্রয়াত আমীর আল্লামা আহমদ শফী। ফাইল ছবি
হেফাজতের প্রয়াত আমীর আল্লামা আহমদ শফী। ফাইল ছবি

হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা আহমদ শফী হত্যা মামলার ধীরগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন।  

শনিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আল্লামা আহমদ শফী হত্যা মামলা কি থেমে গেল কিনা, বাংলার মানুষ জানতে চায়। 

মাওলানা ইসমাইল হোসাইন বলেন, আল্লামা আহমদ শফীকে যেভাবে হাটহাজারী মাদ্রাসার কক্ষে নির্যাতন করা হয়েছে এবং তার রুমের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তছনছ করা হয়েছিল সেটি দেশের সবাই দেখেছে। অক্সিজেন মাস্ক খুলে নেওয়াসহ আল্লামা শফীর সঙ্গে অমানবিক আচরণের করুণ দৃশ্য বিভিন্ন মিডিয়ায় এসেছে। এ বিষয়ে তার ভক্তবৃন্দ প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন। আমরাও সঠিক তদন্ত করে এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িতদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের আমরা জোর দাবি জানিয়েছিলাম। 

মাওলানা ইসমাইল হোসাইন প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা আগে আহমদ শফী হত্যার বিচার চেয়েছিল তারা এখন নিশ্চুপ কেন? বাংলার মানুষ জানতে চায়। 

তিনি বলেন, আমাদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক ও স্পষ্ট।  আমরা শুরু থেকেই বলেছি এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠ আলেম আল্লামা আহমদ শফী ছিলেন বড় মাপের আলেম ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব। তাকে যে কিছু দৃষ্কৃতকারী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে সেটি পিবিআইয়ের তদন্তেও উঠে এসেছে।  আমরা অনতিবিলম্বে এই হত্যাকারীদের বিচার দেখতে চাই।

প্রসঙ্গত, হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফী ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আজগর আলী হসপিটালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর আগের দিন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি মহাপরিচালকের পদ ছাড়েন। 

পরে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর আহমদ শফীর শ্যালক মইন উদ্দিন চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেন। মামলায় ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।  

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আহমদ শফীকে মানসিক নির্যাতন এবং তার অক্সিজেন মাস্ক খুলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন। 

এর কয়েক মাস পর আল্লামা শফীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এতে হেফাজতের সাবেক আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব নাসির উদ্দিন মুনিরসহ ৪৩ জনকে দায়ী করা হয়। 

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

ঘটনাপ্রবাহ : আল্লামা শফী আর নেই