Logo
Logo
×

সারাদেশ

শার্শায় নিখোঁজ ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার, আটক ৩

Icon

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম

শার্শায় নিখোঁজ ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার, আটক ৩

ছবি: যুগান্তর

যশোরের শার্শায় নিখোঁজের চারদিন পর এক ভ্যানচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মো. আব্দুল্লাহ (২৬) শার্শা উপজেলার গাতিপাড়া গ্রামের ইউনুস আলী মোড়লের ছেলে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে শার্শা থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে একটি পরিত্যক্ত একতলা বাড়ির টিনের বক্সের ভেতর থেকে আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ১০ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ভ্যান চালানোর উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন আব্দুল্লাহ। পরদিন শনিবার তার বাবা ইউনুস আলী শার্শা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

জিডির সূত্র ধরে পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) যৌথ তৎপরতায় ঝিকরগাছা থানা এলাকা থেকে ভিকটিমের ভ্যানটি উদ্ধার করে।

তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজন হিসেবে আশানুর রহমান ওরফে আশা (২৮), মুকুল হোসেন (৩৮) এবং সাগর হোসেন নামে তিনজনকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে আটক আশানুর রহমানের বাড়ির পাশে মালয়েশিয়া প্রবাসী বাবলু সরদারের একটি পরিত্যক্ত একতলা বাড়ির টিনের বক্সের ভেতর থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় আব্দুল্লাহর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শার্শা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।

নিহতের বাবা ইউনুস আলী মোড়ল বলেন, আমার ছেলেটা প্রতিদিনের মতো ভ্যান নিয়ে বের হয়েছিল। আমরা ভাবিনি, এভাবে তাকে খুন করবে কেউ। লাশ পচে গলে গেছে, মুখটাও চেনা যাচ্ছিল না। আমরা হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

নিহতের স্ত্রী আছিয়া খাতুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে কারও কোনো ক্ষতি করেনি। এখন আমার ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে আমি কিভাবে বাঁচব?

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন ধরে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ালে সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি পুলিশের নজরে আনলে তারা তল্লাশি চালিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

শার্শা থানার ওসি মো. আব্দুল আলীম বলেন, ভিকটিম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আমরা ও ডিবি পুলিশ একযোগে কাজ শুরু করি। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাজী নাজিব হাসান বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নৃশংস ঘটনা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করা হবে। একইসঙ্গে অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে পুলিশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম