উপজেলা যুবলীগ সভাপতিকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোর্পদ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:০০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ঠিকাদার শামিম হোসেন মোল্লাকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে স্থানীয় এলজিইডি ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে শামিম প্রাইভেটকারে চড়ে এলজিইডি ভবনে আসেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত হয়। তারা ভবনের দ্বিতীয় তলার হিসাব শাখায় শামিমের ওপর চাড়াও হয়। মারধরের এক পর্যায়ে শামিম হোসেন একই ভবনের তৃতীয় তলায় রেস্ট হাউসের বাথরুমে আশ্রয় নেন।
এ সময় তুমুল হট্টগোলে এলজিইডি ভবনজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুর করা হয় শামিমের প্রাইভেটকার। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিএনপি, যুবদলসহ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা। তবে তারা ঘটনার বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাননি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, শামিম ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর এবং শৈলকূপা অঞ্চলের ত্রাস। অসংখ্য অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পরে বিকালে শামিমকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ তার কাছে থাকা নগদ ৭৫ হাজার টাকাসহ ব্যাংকের কিছু কাগজপত্র জব্দ করেন।
শামিম মোল্লা জানান, গাড়াগঞ্জ নিজের পেট্রল পাম্পের নগদ ৫ লাখ টাকা ছিল তার প্রাইভেটকারে। পুলিশ জানায় ভাঙচুর হওয়া প্রাইভেটকার তল্লাশি করে কিছুই পাওয়া যায়নি। প্রাইভেটকারটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সদর হাসাপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত নার্স নুরজাহান জানান, বিকালে শামিমকে চিকিৎসা জন্য আনা হয়। চিকিৎসা শেষে তাকে নিয়ে যায় পুলিশ।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শামিমকে পুলিশে হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান যুগান্তরকে জানান, নাশকতাসহ চুরি-ডাকাতি ও ভূমি দস্যুর বিভিন্ন অভিযোগে মামলা প্রস্তুতি চলছে।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে শৈলকূপা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন শামিম হোসেন মোল্লা। হিন্দু সম্পত্তি দখল, টেন্ডারবাজি, দমনপীড়ন, হামলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
