সোনারগাঁও পৌরসভার রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১২ পিএম
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভায় এক ‘প্রভাবশালীর’ বিরুদ্ধে রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার গোয়ালদী এলাকায় এক ‘প্রভাবশালীর’ বিরুদ্ধে রাস্তা দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে পৌরসভার অনুমোদন ছাড়াই বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত (এলজিসিআরআরপি) প্রকল্পের রাস্তা কেটে ওই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) প্রভাবশালী মীর এম মিজানুর রহমানকে অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহাম্মেদ স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ জারি করা হয়। তবে নোটিশ জারির পরও নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের গোয়ালদী গ্রামের বাসিন্দা মীর এম মিজানুর রহমান ও তার ভাগিনা ছাত্রদল নেতা পরিচয়ধারী সুজন মিয়ার নেতৃত্বে তাদের ভাড়াটিয়া ১০-১৫ জনের একটি দল প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বিশ্বব্যাংকের (কোভিড-১৯) অর্থায়নে নির্মিত রাস্তা কেটে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। রোববার বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরবর্তীতে পৌরসভার পক্ষ থেকে দুই প্রতিনিধি নির্মাণকাজ বন্ধ করতে গেলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। একপর্যায়ে মীর মিজানুর রহমানের ভাই মিঠু মীর ও তার ভাগিনা সুজন মিয়া জোরপূর্বক নির্মাণকাজ চালিয়ে যান।
এ ঘটনায় সোমবার পৌর কর্তৃপক্ষ মীর এম মিজানুর রহমানকে অবৈধভাবে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ জারি করে। নোটিশে রাস্তা কেটে ক্ষতিসাধনের কারণে ক্ষতিপূরণ ফি আদায় এবং কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়।
সোনারগাঁও পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহাম্মেদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের (কোভিড-১৯) অর্থায়নে নির্মিত রাস্তা কেটে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে, যা ইমারত আইন ১৯৫২-এর পরিপন্থি। অনুমোদন ছাড়া সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও রাস্তা কেটে ব্যাপক ক্ষতি সাধনের বিষয়েও নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত মীর এম মিজানুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই মিঠু মীর জানান, তারা পৌরসভার নোটিশ পেয়েছেন এবং নির্দিষ্ট দিনে জবাব দেবেন। তবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণে পৌরসভার অনুমতি প্রয়োজন—এ বিষয়টি তাদের জানা ছিল না। রাস্তার ক্ষতির বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য না করে এড়িয়ে যান।

